Oct 13, 2015

About Geography in Bengali

http://examsupdate.blogspot.com/2015/10/about-geography-in-bengali.html

ভূগোল‬ (GEOGRAPHY)



#ভূগোল (ইংরেজি: Geography) হচ্ছে
জ্ঞানের সেই শাখা যেখানে পৃথিবীর ভূমি, এর
গঠন বিন্যাস, এর অধিবাসী সম্পর্কিত সমস্ত
উপাদানের বিতরণ ও বিন্যাস সংক্রান্ত বিষয়াদি
আলোচিত হয়। এর ইংরেজী প্রতিশব্দ
"Geography" এসেছে গ্রীক ভাষার:
γεωγραφία (ইংরেজীতে:
Geographia) থেকে,[১] যার শাব্দিক
অর্থ: "পৃথিবী সম্পর্কিত বর্ণনা বা
আলোচনা"। এই শব্দটি খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতকে
গ্রিক জ্ঞানবেত্তা এরাতোস্থেনেস প্রথম
ব্যবহার করেন। ভূগোলে মানুষের বসবাসের জগৎ
ও তার সাথে সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় নিয়েই
আলোচনা করা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপঃ ভৌত
ভূগোলে জলবায়ু, ভূমি ও পানি নিয়ে গবেষণা করা
হয়; সাংস্কৃতিক ভূগোলে কৃত্রিম, মনুষ্যনির্মিত
ধারণা যেমন দেশ, বসতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা,
পরিবহন, দালান, ও ভৌগোলিক পরিবেশের
অন্যান্য পরিবর্তিত রূপ আলোচনা করা হয়।
ভূগোলবিদেরা তাঁদের গবেষণায় অর্থনীতি,
ইতিহাস, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব এবং গণিতের
সহায়তা নেন।
ধারনা
মানচিত্রাঙ্কনবিদ এবং বিভিন্ন স্থানের নাম ও
সংখ্যা বিষয়ক অধ্যয়নকারীকে ভূগোলবিদদের
সাথে মিলিয়ে ফেলা ঠিক নয়; যদিও অনেক
ভূগোলবিদ ভূসংস্থান ও মানচিত্রাঙ্কন বিষয়ে
অধ্যয়ন করে থাকেন, তবুও প্রকৃতপক্ষে এটা
তাঁদের মূল বিচরণক্ষেত্র নয়।
শাখা সমূহ
ভূগোলের মূল বিষয়বস্তুকে বর্ণনা এবং
বিশ্লেষণের সুবিধার্থে:
1. প্রাকৃতিক ভূগোল এবং
2. মানবীয় ভূগোল - এই দু'টি শাখায় বিভক্ত
করা হয়।
1#প্রাকৃতিক ‪#‎ভূগোল‬
‪#‎প্রাকৃতিক_ভূগোল‬
প্রাকৃতিক ভূগোল (ভূবিদ্যা) হলো ভূগোলে সেই
অংশ যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ ও তাদের
গঠন উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়। এটি
মূলত: ‪#‎অশ্মমন্ডল‬, ‪#‎বারিমন্ডল‬, ‪#‎বায়ুমন্ডল‬,
‪#‎ভূপৃষ্ঠ‬, এবং ‪#‎বৈশ্বয়িক_উদ্ভিদ_জগত‬ এবং ‪#‎প্রাণী_জগত‬ (‪#‎জীবমন্ডল‬) নিয়ে গঠিত এবং তাদের
সমস্যা এবং তার সমাধান নিয়ে আলোচনা করে
থাকে।
প্রাকৃতিক ভূগোল অসংখ্য বৃহত্ উপশাখায়
বিভক্ত, যাদের মধ্যে রয়েছে:
i)জৈবভূগোল
ii)আবহাওয়াবিদ্যা ও
জলবায়ুবিদ্যা
iii)গাণিতিক ভূগোল
iv)ভূতত্ত্ববিদ্যা
v)ভূস্থিত বাস্তুসংস্থান
vi)সমুদ্রবিদ্যা
vii)কোয়াটার্নারি বিজ্ঞান
2.‪#‎মানবীয়‬ #ভূগোল
‪#‎মানবীয়_ভূগোল‬
মানবীয় ভূগোল হল ভূগোলের এমন একটি শাখা
যা মানব সমাজের আকৃতিগত পদ্ধতি এবং
প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে। এতে মানুষ, তার
রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, এবং
আর্থনৈতিক দিক নিয়ে পর্যালোচনাভূক্ত।
মানবিক ভূগোলে পৃথিবীপৃষ্ঠে মানুষের বিভিন্ন
কর্মকাণ্ডের বর্ণনা, স্থানিক পার্থক্য এবং এই
পার্থক্যের পেছনে প্রাকৃতিক প্রভাবকের ভূমিকা
পর্যালোচনা করা হয়।
মানবীয় ভূগোলকে অনেকগুলো বিস্তৃত ভাগে ভাগ
করা যায়, যেমন:
i)সাংস্কৃতিক ভূগোল
ii)উন্নয়ন ভূগোল
iii)ঐতিহাসিক ভূগোল ও
কালীক ভূগোল
iv)রাজনৈতিক ভূগোল ও
ভৌগোলিকবিদ্যা
v)সামাজিক ভূগোল
vi)পরিবহন ভূগোল
কালে কালে মানবীয় ভূগোল গবেষণা করার
বিভিন্ন পন্থা উদ্ভাবিত হয়েছে এবং এর
অন্তর্ভূক্ত পদ্ধতিগুলো হচ্ছে:
আচরণিক ভূগোল
নারীবাদী ভূগোল
সংস্কৃতি তত্ত্ব
ভূজ্ঞান
শ্রম বিজ্ঞান
মানচিত্র অংকনবিদ্যা
ইতিহাস
প্রধান কয়েকজন ভূগোলবিদ
মূল নিবন্ধ: ভূগোলবিদগণের তালিকা
‪#‎এরাতোস্থেনেস‬ (খ্রীস্টপূর্ব ২৭৬ - ১৯৪
অব্দ) : সর্বপ্রথম "ভূগোল" শব্দটি ব্যবহার
করেন ও পৃথিবীর আয়তন নির্ণয় করেন।
‪#‎স্ট্রাবো‬ (খ্রিস্টপূর্ব ৬৪/৬৩ - খ্রিস্টীয়
২৪ অব্দ) : ভূগোল বিষয়ক প্রথম
বিশ্বকোষীয় গ্রন্থ "The
Geographica" -এর লেখক।
‪#‎টলেমি‬ (খ্রিস্টীয় ৯০ - ১৬৮ অব্দ) :
"Geographia" নামক গ্রন্থে গ্রীক ও
রোমানদের আহরিত জ্ঞানকে সুসঙ্গবদ্ধ করেন।
‪#‎জেরাডাস‬ মারকেটর (১৫১২ - ১৫৯৪) :
অন্যতম প্রধান মানচিত্র অঙ্কনবিদ ও
"মার্কেটর অভিক্ষেপ"-এর প্রবর্তক।
‪#‎আলেকজান্ডার‬ ফন হুমবোল্ড্ট্ (১৭৬৯ -
১৮৫৯) : আধুনিক ভূগোলের জনক বলে গন্য
করা হয় ও "জীব-ভূগোল"-এর প্রবর্তক।
‪#‎কার্ল‬ রিটার (১৭৭৯ – ১৮৫৯) :
আধুনিক ভূগোলের জনক বলে গন্য করা হয় ও
বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল বিভাগের
প্রতিষ্ঠাতা।

No comments:

Post a Comment